,

নবীগঞ্জে ক্লাসে বান্ধবীর সাথে কথা বলায় শিক্ষক পিঠালেন ছাত্রীকে, অচেতন অবস্থায় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তামিমা বেগম (১৩) কে পিঠিয়ে আহত করলেন ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক কাজল চন্দ্র দাশ। এ সময় তামিমা ক্লাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত ইনাতগঞ্জে চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়। প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর তার জ্ঞান ফিরে আসে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক মিয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পিয়ার আলী ছুটিতে ছিলেন। মোবাইল ফোনে দুপুরে প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারী শিক্ষক কাজল চন্দ্র দাশের বিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয়াদী নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক পিয়ার আলী জানান, কথা বলার সময় শিক্ষক কাজল চন্দ্র দাশ উত্তেজিত ছিলেন। এ সময় ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তামিমা ক্লাশে বান্ধবীর সাথে কথা বলছিলেন। শিক্ষক কাজল প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলা শেষ করেই বেত নিয়ে ক্লাশে প্রবেশ করেন এবং কথা বলছ কেন বলেই তামিমার উপর শুরু করেন বেত্রঘাত। এক পর্যায়ে তামিমা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ সময় ছাত্র-ছাত্রীদের চিৎকারে বাইরের ও তামিমার অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাকে ইনাতগঞ্জ চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। স্থানীয় গ্রামবাসী জানান, শিক্ষক কাজল প্রধান শিক্ষকের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে তাকে কিছু করতে না পেরে রাগ ঝারলেন ছাত্রীর উপর। এটা খুবই দু:খজনক। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আশিক মিয়া বলেন, কোন কারণ ছাড়াই শিক্ষক কাজল চন্দ্র দাশ ছাত্রীটিকে যেভাবে পিঠালেন এটা মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল। এমন ঘটনার তিনি তীব্র নিন্দ্র জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর